1. domhostregbd@gmail.com : devteam :

January 17, 2025, 3:04 pm

ভারতীয় ই-ভিসা পূরণে যেসব ভুল হয়

ভারতীয় ই-ভিসা পূরণে যেসব ভুল হয়

করোনামহামারি শিথিল হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রবেশ উন্মুক্ত করার পরই ভিসা নিতে ছুটছেন আগ্রহীরা। লাখ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই ভারত ভ্রমণ করে এসেছেন। কেউ কেউ এখনও ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারত ভিসা কেন্দ্রে এখন বিশাল লাইন। তবে ছোট্ট ভুলের কারণে ভারত ভিসা প্রত্যাখান হতে পারে। কষ্ট করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়ানোর পরও ভিসা না পাওয়া যন্ত্রণাদায়ক। তাই ভিসার ফরম পূরণ ও প্রসেসিং পুরোটাই নির্ভুল হওয়া চাই। অনেকেই এই বিষয়ে এতোটা পারদর্শী নন। বিশেষ করে যারা প্রথম ভিসা লাগাচ্ছেন। তাই ভারতে ভ্রমণের আগে ভিসা প্রসেসিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে জানুন এবং নির্ভুলভাবে সব পূরণ করুন।

ভারতীয় ই-ভিসা অ্যাপ্লিকেশন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আবেদন করতে পারেন। যাত্রা ঝামেলামুক্ত রাখতে এখনই এই বিষয়গুলোতে নজর দিন।

  • ভারতীয় ই-ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নাবালক হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু কোনও অপরাধের ইতিহাস থাকা যাবে না। ভারত ভিসা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও তথ্য লুকানো হলে আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে। 
  • দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতীয় ই-ভিসা প্রত্যাখ্যানের একটি বড় কারণ পুরো নাম না দেওয়া। অবশ্যই নিজের নাম, উপাধি এবং মধ্য নাম (যদি থাকে) তা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। আদ্যক্ষর ব্যবহার করবেন না বা মাঝের নামগুলো এড়িয়ে যাবেন না।
  • আপনি আগে ই-ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। যা এখনও সক্রিয় এবং বৈধ। এর মধ্যেই যদি ভারতীয় ই-ভিসার জন্য আপনি আবারও আবেদন করেন তবে তা প্রত্যাখ্যান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে শুধুমাত্র ১টি ভারত ভিসা অনলাইনে অনুমোদন দেওয়া হবে।
  • নিজের বাবা-মা, পিতামহী, স্ত্রী বা পাকিস্তানে জন্ম নিয়েছেন এমন কারও তথ্য আপনার ভিসার ফরমে যুক্ত করেন তবে ভারতীয় ই-ভিসা অ্যাপ্লিকেশনটি অনুমোদিত নাও হতে পারে। 
  • ভিসা ফরমটি অনলাইনে পূরণ করে ভারতীয় ভিসার নিকটতম ভারতীয় দূতাবাস বা ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে আবেদন করুন। অন্যথায় প্রত্যাখান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আপনার সফর করার মূল উদ্দেশ্য এবং আপনি যে ধরণের ই-ভিসার জন্য আবেদন করেছেন দুইটির মধ্যে অমিল থাকলে ভিসা প্রত্যাখান হতে পারে। ব্যবসায়িক কাজে গেলে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। আসল উদ্দেশ্যটি অবশ্যই ভিসার ধরণের সঙ্গে মিল রেখে আবেদন করবেন।
  • পাসপোর্টের শিগগিরই মেয়াদ শেষ হচ্ছে, এমন পাসপোর্ট জমা দেবেন না। অন্তত ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্টের ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • ভারতীয় ই-ভিসার আবেদনের জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে তা জেনে আবেদন করুন। অন্যথায় ভিসা নাও পেতে পারেন। 
  • ভারত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভারতে অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য আপনার পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে তার প্রমাণ চাইবে। এই তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ভারতীয় ই-ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
  • ভিসা ফরমের সঙ্গে যুক্ত করা ছবি স্পষ্ট হতে হবে। মুখের পুরো অংশ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হতে হবে। পাসপোর্টের ছবি আবারও ব্যবহার করবেন না। ভারত ভিসা আবেদনের জন্য নতুন করে ছবি তুলে নিন। অস্পষ্ট ছবি দেখলে ভিসা আবেদন প্রত্যাখান করতে পারে। 
  • পাসপোর্টের স্ক্যান কপিতে জন্ম তারিখ, নাম এবং পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যু করার তারিখ এবং পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ স্পষ্ট রয়েছে কিনা দেখে নিন। তথ্য অস্পষ্ট থাকলে ভিসা প্রত্যাখান হতে পারে। 
  • পাসপোর্টে উল্লিখিত তথ্যের সঙ্গে ভারতীয় ই-ভিসা আবেদনে ১টিও অসামঞ্জস্য থাকে তবে আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে। পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, পাসপোর্টের দেশ বিশেষ যত্ন নিয়ে পূরণ করুন।
  • পুরানো পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন পাসপোর্টে ভারতে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। তবে পুরানো পাসপোর্ট পুলিশ রিপোর্ট সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় ভিসা প্রত্যাখান হতে পারে।
  • ভারতে মেডিকেল ভিজিটে যাচ্ছেন। মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ভিসারও আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে রোগী মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং সঙ্গে ২ জন মেডিকেল ভিসায় রোগীর সঙ্গে যেতে পারেন। ই-মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনকারী রোগীর চিকিত্সা, পদ্ধতি, অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের লেটারহেডের একটি স্পষ্ট চিঠির প্রয়োজন হবে।
  • ভারতে বিজনেস ভিসার জন্য উভয় সংস্থার প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারীর বিদেশি সংস্থা এবং ভারতীয় সংস্থার ওয়েবসাইটের ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2022 duibangla.com
Developed by duibangla.com Team